গাজীপুরে এক আ.লীগনেতার যত অপকর্ম - ads24bd.com

সর্বশেষ


Friday, March 17, 2023

গাজীপুরে এক আ.লীগনেতার যত অপকর্ম

 


নিজস্ব প্রতিনিধি : রকিব সরকার ১৯৮২ সালে গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন ১৫নং ওয়ার্ডের ভোগড়ায় জন্ম গ্রহণ করে। পিতা-সামছুদ্দিন সরকার (মৃত) ও মাতা-কামরুন নাহার বুলবুল সরকারের কনিষ্ঠ পুত্র হলো রকিব সরকার। রকিব সরকার এর বড় ভাই মোঃ সুলতান সরকার, সভাপতি, গাজীপুর জেলা পরিবহন শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন ও সাংগঠনিক সম্পাদক কেন্দ্রীয় শ্রমিক ফেডারেশন, যিনি পরিবহন সেক্টরে বড় চাঁদাবাজী ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মূল হোতা হিসেবে পরিচিত। তার ভাই ফয়সাল আহমেদ সরকার বর্তমানে গাজীপুর মহানগর শ্রমিক দলের আহবায়ক এর দায়িত্ব পালন করছে এবং ১৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলরও বটে। এছাড়া তার অপর ভাই কামরুল আহসান সরকার, গাজীপুর মহানগর যুবলীগের আহবায়ক। মহানগর বিএনপি নেতা হাসান উদ্দিন সরকার ও শওকত সরকারও তাদের নিকট আত্মীয় মর্মে জানা যায়।

সরকার পরিবার নিজেদের বিভিন্ন দলে সম্পৃক্ত করে বর্তমানে গাজীপুর মহানগরীতে চাঁদাবাজি, গার্মেন্টস ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রন, মাদকের স্পট পরিচালনা, জমি দখল, পরিবহন সেক্টরে চাঁদাবাজি ও অরাজকতা সৃষ্টি এবং স্থানীয় সন্ত্রাসী লালন করছে মর্মে গোয়েন্দা তথ্যে উঠে এসেছে। ভাইদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগীতায় এই কাজে নেতৃত্ব দিচ্ছে রকিব সরকার। স্থানীয় জনগনের কাছে আতংকের নাম রকিব সরকার। বাসন থানা এলাকা সহ মহানগরীর প্রায় সকল ডিস ও ইন্টারনেট ব্যবসা হতে প্রতি মাসে ৫-৬ লক্ষ টাকা করে চাঁদা আদায় করে। এক্ষেত্রে মাসে প্রায় ১-১.৫০ কোটি টাকা চাঁদা আদায় করে মর্মে তথ্য পাওয়া গেছে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের উপর নেমে আসে অত্যাচারের খড়গ।

তার অন্যতম বিশ্বস্থ অনুগামী বিজন, জুয়েল ও আরিফ মজুমদারের সহযোগীতায় আউটপাড়া গড়ে তুলেছে ইয়াবা, গাঁজা ও ফেন্সিডিলের স্পট। এ মাদক স্পট হতে প্রতিমাসে ১৫-২০ লক্ষ টাকা আদায় হয় মর্মে জানা যায়। তাছাড়া বাসন থানধীন নলজানি কুলুপাড়ায়ও মাদকের স্পট গড়ে তুলেছে। তাকে এ কাজে সহযোগীতা করছে সহযোগী সুমন। সন্ধ্যার পর বাসন সড়কে তার প্রত্যক্ষ সহচর সোহরাব ও মনির ইয়াবা ও ফেন্সিডিল বিক্রি করে। এসব মাদক স্পট হতে মাসে কয়েক লক্ষ টাকা আদায় হয়। স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের আশ্রয় ও পৃষ্ঠপোষকতা করা ছাড়াও সে বহু অপকর্মে জড়িত। বর্তমানে ভোগড়া বাইপাস ফলের আড়ৎ (সামছুদ্দিন সুপার মার্কেট) এবং কাঁচা বাজারে যে সকল ট্রাক, পিকাপ আসে সেগুলোর প্রত্যেকটি হতে ৫০ ও ১০০ টাকা হারে তার লোকজন চাঁদা আদায় করে। উল্লেখ্য, এই স্থানে প্রতিদিন ২০০-২৫০ টি গাড়ী আনলোড হয় মর্মে গোয়েন্দা তথ্যে উঠে এসেছে। রকিব সরকারের বিশ্বস্থ সহচর ইঞ্জিনিয়ার পলিম উল্লেখিত আড়ৎ-এ চাঁদাবাজির জন্য তার ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে।

গাজীপুর মহানগরীর প্রায় সকল গার্মেন্টেস এর ঝুট নিয়ন্ত্রন করে রকিব সরকার ও তার পালিত স্থানীয়ভাবে ত্রাস সৃষ্টিকারী কিছু দুস্কৃতিকারী। ঝুটের ব্যবসা নিয়ন্ত্রন রাখার জন্য প্রয়োজনে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহারের কথাও জানা যায়। বাসন থানা এলাকাধীন ল্যাভন্ডার গার্মেন্টস, বটম্স গ্যালারী, লালতাপুর গার্মেন্টস, হাসান তানভীর ফ্যাশন লিঃ, লিরিক ফ্যাশন টার্গেট লিঃ, নেটওয়ার্ক ডটকম, মিকি গার্মেন্টস, স্কয়ার লিঃ, টি এন্ড জেড গার্মেন্টস সমূহ হতে তার লোকজন প্রতি মাসে ঝুট নিয়ন্ত্রনে নেয়। কোন গার্মেন্টস মালিক অথবা কর্তৃপক্ষ ঝুট প্রদানে অস্বীকৃতি জানালে গার্মেন্টস শ্রমিকদের উস্কে দেয় এবং বহিরাগত সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে মালিক পক্ষের উপর আক্রমন চালায়। এই ঝুট থেকে প্রতি মাসে ৭০/৮০ লক্ষ টাকা রকিব সরকার লাভ করে। তার ঘনিষ্ট সহযোগী আরিফ, নাজমুল ও আলমগীর তার ঝুটের ব্যবসা পরিচালনা করে।

বাসন ও সদর থানা এলাকায় তার বিরুদ্ধে সাধারন মানুষের জমি দখলের অভিযোগ রয়েছে। ভাওয়াল বদরে আলম কলেজের পূর্ব পাশে এবং জয়দেবপুর-টাঙ্গাইল মহাসড়কের উত্তর পাশে অবস্থিত জনৈক মোঃ ইসমাইল হোসেন লাদেন ও মামুন সরকার গং দের ৩২.৫ শতাংশ জমি প্রায় ৫ বছর ধরে জোর পূর্বক দখল করে রেখেছে। বর্তমানে দখলকৃত স্থানে “সনিরাজ" কার প্যালেস নামে একটি গাড়ির শো-রুম স্থাপন করেছে। এছাড়া একই সড়কের কাশেম টেক্সটাইল সংলগ্ন ৩ (তিন) বিঘা প্রায় ১০০ শতাংশ জমি রকিব সরকার দখল করেছে। এই জায়গার প্রকৃত মালিক হলো জনৈক বাবুল ও গং। পাশাপাশি, বাসন থানাধীন চিটাগং রোডের মোগড়খাল রাস্তার উত্তর পাশে জনৈক অসহায় বিধবা রহিমার মালিকানায় থাকা ১০ শতাংশ জমি সে দখল করে রেখেছে। এছাড়া সদর থানাধীন বিলাশপুরের শিমুলতলী রোড সংলগ্ন পূর্ব পাশে একজন অসহায় লোকের ১৩ শতাংশ জমি সে দখল করে রেখেছে মর্মে জানা যায়। অসহায় মানুষ তার এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করতে ভয় পায়। স্থানীয় বিএনপি, আওয়ামীলীগ ও জামাতের নেতৃবৃন্দ তার আত্মীয় স্বজন। তাদের প্রভাব ও প্রতিপত্তি কাজে লাগিয়ে সে দীর্ঘদিন ধরে এ কাজে লিপ্ত। অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে এবং তার ভাই সুলতান সরকারের পরিবহন শ্রমিকদের লেলিয়ে দিয়ে ত্রাস সৃষ্টির মাধ্যমে সাধারন মানুষের মুখ বন্ধ করার চেষ্টা করে আসছে। স্থানীয় থানা পুলিশ এসব কজের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ গ্রহনের চেষ্টা করলে, তার ভাই সুলতান সরকার এর সহযোগীতায় পরিবহন শ্রমিকদের দিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করে। থানা পুলিশ রকিব সরকার ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে অনেক ক্ষেত্রে অসমর্থ হয়ে পড়ে। রকিব সরকারের বড় ভাই ফয়সাল সরকার বর্তমানে ১৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও মহানগর শ্রমিক দলের আহবায়ক। ফয়সাল সরকারের সহযোগীতায় ভোগড়া বাইপাস এলাকার পেয়ারা বাগান বাস কাউন্টার হতে নিয়মিত চাঁদা আদায় করছে। রকিব সরকার তার অবৈধ উপার্জন হতে বিএনপি জামাত জোটের স্থানীয় নেতাদেরে অর্থ সরবরাহ করে মর্মে গোয়েন্দা তথ্যে উঠে আসে।

তার ঘনিষ্ট সহযোগী হলো মশিউর রহমান সিপাহী, মোঃ আলমগীর ও মোঃ সইফুল ইসলাম, যারা প্রতিনিয়ত মহানগরীতে মাদক সরবরাহে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগীতা করছে। রকিব সরকারের আইন বিরোধী কর্মকান্ডে তার অপরাপর ভাই ও স্থানীয় বিএনপি-জামাতের প্রত্যক্ষ মদদ রয়েছে। উল্লেখ্য গাজীপুর মহানগরীর কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট হচ্ছে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ভোগড়া বাইপাস মোড়। তার পরিবারের কারো স্বার্থের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ গ্রহন করা হলে মহাসড়কের উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পরিবহন শ্রমিক ও তার পালিত সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সহযোগীতায় অবরোধ এর ঘটনা ঘটায়।

রকিব সরকারের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ ও অস্ত্র মামলা রুজু হলেও ক্ষমতা ও অর্থের জোরে সকল মামলা হতে সে এখন অব্যাহতি প্রাপ্ত। তার প্রত্যক্ষ নির্দেশনায় হত্যা করা হয় আমির হামজা নামে জনৈক এক ডিস ব্যবসার ম্যানেজারকে। ভিকটিম আমির হামজা (২৭) জয়দেবপুর থানাধীন তেলিপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করত এবং স্থানীয় রনি সরকার এর “সরকার ক্যাবল ভিশন” নামক ডিস ব্যবসার ম্যানেজার হিসেবে চাকরী করত। রকিব সরকার ও রনি সরকারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে ডিস ও ঝুট ব্যবসার ভাগাভাগি নিয়ে বিরোধ চলমান ছিল। ডিস ও ঝুটের ব্যবসা দখলকে কেন্দ্র করে রকিব সরকার একাধিকবার ভিকটিম আমির হামজাকে এলাকা ছেড়ে চলে যাবার জন্য হুমকি প্রদান করে। এক পর্যায়ে রকিব সরকার তার প্রতিপক্ষ রনি সরকারের ম্যানেজার ভিকটিম আমির হামজাকে (২৭) কে হত্যার পরিকল্পনা করে। পূর্ব পরিকল্পনা অনুসারে গত ৭/১০/২০১৭ তারিখ রাত ১২.৩০ ঘটিকায় রকিব সরকারের নেতৃত্বে ১০-১৫ জন অজ্ঞাত অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ভিকটিম আমির হামজাকে টেনে হিছড়ে "সরকার ক্যাবল ডিস" অফিস হতে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। এ সময় ভিকটিম চিৎকার করলেও স্থানীয় জনতা ভয়ে কোন প্রতিরোধ করতে পারেনি। পরবর্তীতে নলজানি টিএন্ডটি রোডের পাশে জাইকা ড্রেনের কাছে ভিকটিমের রক্তের তাজা দাগ পাওয়া যায়। রকিব সরকার ও তার পালিত সন্ত্রাসীরা ভিকটিমকে মারপিট, জখম ও কুপিয়ে উল্লেখিত স্থানে ফেলে যায় মর্মে জানা যায়। অজ্ঞাত লোকজন সেখান থেকে ভিকটিমকে শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজে মুমূর্ষ অবস্থায় প্রেরণ করে এবং সেখানে তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় প্রত্যক্ষ জড়িত থাকার অভিযোগে রকিব সরকারকে ১নং আসামী করে ভিকটিমের স্ত্রী মমতাজ বেগম মোবাঃ ০১৮৩৬-২১২৬১৪ জয়দেবপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। জয়দেবপুর থানার মামলা নং- ৭১ তাং-১২/১০/২০১৭ খ্রিঃ, ধারা-১৪৩/৩২৪/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৩০২/১১৪ দঃ বি।

পরবর্তীতে রকিব সরকার ও তার ভাইদের চাপে এ মামলার তদন্তের গতি স্থিমিত হয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে এ হত্যা মামলাটি ফাইনাল রিপোর্ট প্রদান করতে তারা কর্তৃপক্ষকে বাধ্য করেছে মর্মে পরিবারের অভিযোগ রয়েছে।

রকিব সরকার তার প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য গত ৭/১০/২০১৭ তারিখে রনি সরকার এর নির্মানাধীন বিল্ডিং এর একটি রুমে ২টি অস্ত্র (পিস্তল) তার সহযোগীদের মাধ্যমে রাখার ব্যবস্থা করে। রনি সরকার ও তার ম্যানেজার আমির হামজাকে ফাঁসানোর জন্য পরিকল্পিত ভাবে ২টি পিস্তল রকিব সরকার উল্লেখিত স্থানে রেখে আসার ব্যবস্থা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী রকিব সরকার তার তৎকালীন ব্যবহৃত মোবাইল- ০১৭১১-১০৯০২৯ হতে জয়দেবপুর থানার অফিসার, ইন্টেলিজেন্স, মোঃ আবুল কাশেমকে তার ব্যবহৃত মোবাইল- ০১৭১১-২২৮৩০২ তে কল করে এবং তার প্রতিপক্ষ রনি সরকারের নির্মানাধীন বিল্ডিং এ ২টি অস্ত্র মজুদ থাকার কথা বলে। সে সময় সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার, (ইন্টেলিজেন্স) আরো ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে গমন করে এবং ২টি পিস্তল উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে পুলিশ বাড়ীর মালিক রনি সরকারসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। তবে তদন্তের পর্যায়ে দেখা যায় যে, স্থানীয়ভাবে রনি সরকার ও রকিব সরকারের মধ্যে ডিস ও ঝুটের ব্যবসা নিয়ে বিরোধ রয়েছে। ফলে রকিব সরকার তার প্রতিপক্ষ রনি সরকারকে ফাঁসাতে তার সহযোগী রাজিব সরকার @ সবুজ ও মোঃ জোবায়ের হোসেন @ শুভদের মাধ্যমে এ অবৈধ অস্ত্রের নাটক সাজিয়েছে। প্রতিপক্ষ রনি সরকারকে হয়রানী, আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করা এবং সর্বপরি ডিস ও ঝুটের ব্যবসায় নিজের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। সে সময় পুলিশ বাদী হয়ে রকিব সরকারকে ১নং আসামী করে জয়দেবপুর থানায় অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করে এবং রকিব সরকারকে গ্রেফতার পূর্বক আদালতে সোপর্দ করে। জয়দেবপুর থানার মামলা নং-৫৯, তাং-১/১০/২০১৭ ধারা-১৮৭৮ সলের অস্ত্র আইনের ১৯(এ) ও ১৯(এফ)। কিন্তু ক্ষমতা অবৈধ অর্থের জোরে রকিব সরকার এ মামলার কার্যক্রম স্থিমিত করে দেয় মর্মে গোয়েন্দা তথ্যে উঠে আসে।

পরবর্তীতে রকিব সরকারের ভাই সুলতান সরকার ও অপর ভাই বিএনপি নেতা ফয়সাল সরকারের বহুমূখী তৎপরতায় এ মামলা আর আলোর মুখ দেখেনি। তদন্তের এক পর্যায়ে ফাইনাল রিপোর্ট দাখিল হলে মামলাটি কার্যক্রম স্থগিত হয়ে পড়ে। গোয়েন্দা তথ্যে জানা যায়, রকিব সরকারের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা সমূহের ফাইনাল রিপোর্ট সহ ডকেট কপি আদালত হতে অজানা কারণে উদাও হয়ে গেছে।

রকিব সরকারের বিরুদ্ধে জনৈক ইনতুজা আক্তার রুপা নামে (৩৪) এক নারীকে জোর পূর্বক গনধর্ষন করার মামলা রয়েছে। ২০১৭ সালের ২৭ এপ্রিল রকিব সরকার সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে জয়দেবপুর থানাধীন তার সহযোগী আরেফিন খান মৃদুল এর বসত বাড়ীতে জোর পূর্বক উল্লেখিত নারীকে গনধর্ষন করে। এ ঘটনায় ভিকটিম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। জয়দেবপুর থানার মামলা নং-১৪৭ তাং-২৭/০৪/২০১৭ ধারা-৯ (৩)/৩০, ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী-২০০৩)।

এ ঘটনায় প্রত্যক্ষ জড়িত থাকার প্রমাণ থাকলেও ক্ষমতার জোরে রকিব সরকার মামলাটি ফাইনাল রিপোর্ট করিয়ে স্থিমিত করে দেয় মর্মে গোয়েন্দা তথ্যে উঠে আসে।

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Pages