ঘরের ভিতর ‘কসাই খানা’ বানিয়ে চোরাই গরুর মাংস বিক্রি! - ads24bd.com

সর্বশেষ


Wednesday, February 7, 2024

ঘরের ভিতর ‘কসাই খানা’ বানিয়ে চোরাই গরুর মাংস বিক্রি!

  


সিলেট প্রতিনিধি : গরু চুরি করে জবাই, তারপর মাংস সাপ্লাই দেয়াই ছিল তার পেশা। নিজের ঘরের ভেতর বানিয়েছেন মিনি কসাই খানা। রক্ত ও অন্যান্য বর্জ্য ফেলার জন্য আছে ড্রেনেজ সিস্টেমও। ঘরেই ভিতরে গোস্ত মজুদের জন্য রয়েছে ডিপ-ফ্রিজ।

গরু চুরি ও বিভিন্ন কসাইদের কাছে গোস্ত সাপ্লাই দিতেন সকলের অগোচরে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি ওয়াদুদ মিয়ার (৩৫)। অবশেষে তাকে আটক করেছে পুলিশ। ধরা পরার আগ পর্যন্ত অন্তত শতাধিক গরু চুরির রেকর্ড করেছেন তিনি।

সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের মজির মিয়ার ছেলে ওয়াদুদ মিয়া। মঙ্গলবার মৌলভীবাজারের রাজনগর থানার পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন তিনি। আজ বুধবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজনগর উপজেলার মুন্সিবাজার ও উত্তরভাগ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে শীত মৌসুমে গরু চুরির ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয়রা এ নিয়ে নড়েচড়ে বসেন।

তৎপর হয়ে উঠে পুলিশ। অধিকাংশ গরু চুরির রেকর্ড পুলিশের কাছে না থাকলেও সাধারণ মানুষরা নিজের মতো করে খোঁজা-খুঁজি ও মেম্বার চেয়ারম্যানদের জানিয়ে রাখতেন। গত ৪/৫ দিন আগে উপজেলার মুন্সিবাজারের করিমপুর চা বাগানের অনন্ত তেলির একটি বাছুর ছাড়া গাভি চুরি হয়। তিনি বিভিন্ন জায়গায় খোঁজা-খুঁজি করছিলেন।  

এদিকে গত ২ দিন আগে রাজনগরের চেলারচক এলাকার কয়েকজন শ্রমিক পার্শ্ববর্তী ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের আনারস বাগানে কাজ করতে যান।

তারা ওই বাগানে পা ও মুখ বাধা একটি গাভি দেখতে পেয়ে নিয়ে এসে উত্তরভাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখেন। গাভিটির মালিক না পাওয়ায় এলাকায় মাইকিং করা হয়।

খবর পেয়ে অনন্ত তেলি গিয়ে দেখেন গাভিটি তার। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য গাভির বাছুর নিয়ে গেলে বাচ্চাটি দুধ খাওয়া শুরু করে। এতে তার মালিকানা নিশ্চিত হওয়া গেলেও চুর কে তা পাওয়া যাচ্ছিল না।

মুন্সিবাজারের করিমপুরের আওয়াল মিয়াসহ কয়েকজনেরও গরু চুরি হয়েছে অতিসম্প্রতি। তারা চুর খোঁজার জন্য ওই এলাকায় যান। গিয়ে দেখেন মির্জাপুরে ওয়াদুদ মিয়ার বাড়ির পাশে অর্ধশতরও বেশি গরুর মাথা ও হাড়গোড় দেখা যায়। এছাড়াও আনারস বাগানের বিভিন্ন এলাকায় গরুর মাথা ও হাড় পড়ে রয়েছে। পরে তারা রাজনগর থানার পুলিশকে খবর দিলে উপ-পরিদর্শক (এসআই) শওকত মাসুদ ভূঁইয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ ফেঞ্চুগঞ্জ থানার সহায়তায় মির্জাপুর গ্রামের মজির মিয়ার ছেলে ওয়াদুদ মিয়া (৩২) ও তার পাশের বাড়ির বোনের জামাই মাসুদ মিয়ার ছেলে কবির মিয়াকে (৫৫) মঙ্গলবার বিকালে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এসময় তার ঘরের ফ্রিজে রাখা প্রায় ৫০ কেজি গোস্ত, চুরির কাজে ব্যবহৃত একটি সিএনজি অটোরিকশা, বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও তার বাড়ির পাশ থেকে প্রায় ৫০টি গরুর মাথার কঙ্কাল পাওয়া যায়।

এ ব্যাপারে রাজনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নজরুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে রাজনগর থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ পুরো চক্রকে ধরার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Pages