এক ভন্ড কবিরাজের আলিশান বাড়ি - ads24bd.com

সর্বশেষ


Thursday, March 23, 2023

এক ভন্ড কবিরাজের আলিশান বাড়ি

 


ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি  : নাম তার মাইনুদ্দিন খন্দকার, বাঞ্ছারামপুর থানা হুগলাকান্দি গ্রামের এক ভন্ড প্রতারক।  যে কিনা মুখ দেখে বলে দিতে পারে সবকিছু। অথচ স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, এই ভন্ড কবিরাজ মাইনুদ্দিনের সমস্যার শেষ নেই। দৈনিক  যুগান্তর, অপরাধ বিচিত্রা সহ আরোও কয়েকটি পত্র-পত্রিকায় তার কুকর্মের বিষয়ের উপর সংবাদ প্রকাশ করা হয়। যুগান্তরের রিপোর্টের সূত্র-বাঞ্ছারামপুরে এক সময়ের হতদরিদ্র দিনমজুর মাইনুদ্দিন (৬০) কবিরাজির আড়ালে প্রতারণা করে কয়েক কোটি টাকার মালিক। এমন একটা সময় কেটেছে তার, যখন খাবারের অভাবে দিনের পর দিন অর্ধাহারে-অনাহারে কাটাতে হয়েছে। অথচ সেই মাইনুদ্দিনের বাড়ি আজ দোতলা বিলাসবহুল ভবন। যা দেখে এলাকাবাসী রীতিমতো হতবাক। তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগও রয়েছে অনেকের। কয়েক মাস আগে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার সাবেক ওসি অংশু কুমার দেব তার বাড়িতে কয়েকবার পুলিশ পাঠিয়ে তাকে ধরতে না পেরে তার ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। মাইনুদ্দিন কয়েক মাস এলাকা ছেড়ে নরসিংদীতে আত্মগোপনে ছিলেন। মাইনুদ্দিনের বিরুদ্ধে অসংখ্য প্রতারণার অভিযোগ থাকলেও স্থানীয় প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। অনুসন্ধানে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী ইউনিয়নের হোগলাকান্দি গ্রামে ফকিরির নামে প্রতারণা ও তাবিজ-কবজের ব্যবসা করে মাত্র ৮-১০ বছরে মাইনুদ্দিন কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। বসতবাড়ি ছাড়াও এলাকায় রয়েছে তার আরও একটি বাড়ি, ৪ বিঘা জমি। বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রয়েছে অন্তত কোটি টাকা। আত্মীয়স্বজনের নামে নরসিংদীতে রয়েছে ৬ কাঠা জমিসহ বিভিন্ন ধরনের সম্পত্তি। সব মিলিয়ে তিনি এখন অন্তত ৬-৭ কোটি টাকার মালিক। কিন্তু সরকারকে কোনো রাজস্ব দেন না। অভিযোগ রয়েছে, মাইনুদ্দিন নিজের প্রতারণা ও ভণ্ড ফকিরি ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে এলাকার প্রভাবশালীদের পেছনে মাসে অন্তত ২ লাখ টাকা ব্যয় করেন। জীবনে কখনও রাজনীতি না করলেও গত কয়েক বছর আগে নিজেকে বিপদমুক্ত রাখার কৌশল হিসেবে নাম লেখান রূপসদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ধর্ম সম্পাদক হিসেবে। অনুসন্ধানকালে তাবিজ নিতে আসা পার্শ্ববর্তী আলম মিয়ার সঙ্গে এ প্রতিবেদকের কথা হয়। তিনি বলেন, ‘অনেক মানুষ বিশ্বাস করে মাইনুদ্দিন ফকিরের তাবিজ-কবচ নিতে আসে। শুনেছি, ফকির নাকি চুক্তিতে কাজ করে। কিন্তু আমি দু’বার কইরা তিন হাজার টাকা দিয়া তাবিজ নিয়াও কোনো ফল পাই নাই। তবে এ বিষয়ে বেশি কিছু বলা যাবে না। কারণ তার ক্যাডার বাহিনী শুনলে অত্যাচার করব।’ এসব বিষয়ে অভিযুক্ত মাইনুদ্দিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘সারে এলাকা থেকে মানুষজন আমার কাছে আইয়ে (আসে) উপকার পায় বিধায়। আমি কাউরে জোর কইরা আমার কাছে আনি না। আগে অভাব আছিল বিধায় মানুষের বাড়িতে কাম করছি। এহন আল্লার রহমতে আমি কোটিপতি। কেউরে আমি প্রতারণা করি নাই, যারা আমার কাছে উপকার পাইছে হেরাই আমারে টেকা-পয়সা দিয়া যায়। আমার আস্তানায় নারীরা থাকলেও এহানে কোনো খারাপ কাম হয় না। আর আয়কর না দেয়া প্রসঙ্গে বলেন, আমি কষ্ট কইরা টেহা কামাই কইরা সরকাররে ভাগ দিতাম কেন?’ এ বিষয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘হোগলাকান্দি গ্রামের ভণ্ড ফকির মাইনুদ্দিনের সঙ্গে আমাদের থানা পুলিশের কোনো যোগাযোগ নেই। তবে তার সম্পর্কে যেহেতু এখন শুনেছি, তদন্ত করে ব্যবস্থা নেব। বাঞ্ছারামপুরে কোনো ভণ্ড ও প্রতারকের আস্তানা থাকতে দেব না। প্রাণের বাংলাদেশের প্রথম পর্ব- নারী কেলেঙ্কারী সহ প্রতারণার আমলনামা সহ তার নিয়ন্ত্রণের রয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের একটি বাহিনী। সবই তার অবৈধ অর্থের জোর। এক সময়ের হতদরিদ্র দিনমজুর মাইনুদ্দিন  কবিরাজির আড়ালে প্রতারণা বাণিজ্যে সর্বস্বান্ত করে পথে বসাচ্ছেন সাধারণ মানুষকে। প্রতারণা করে কয়েক কোটি টাকার মালিক। এমন একটা সময় কেটেছে তার, যখন খাবারের অভাবে দিনের পর দিন অর্ধাহারে-অনাহারে কাটাতে হয়েছে। অথচ সেই মাইনুদ্দিনের বাড়ি আজ দোতলা বিলাসবহুল ভবন। যা দেখে এলাকাবাসী রীতিমতো হতবাক। তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগও রয়েছে অনেকের। বছর আগে একাধিক পত্রিকায় ভন্ড কবিরাজ আইনুদ্দিনের নামে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছিল। তৎকালীন বাঞ্ছারামপুর মডেল থানার সাবেক ওসি অংশু কুমার দেব তার বাড়িতে কয়েকবার পুলিশ পাঠিয়ে তাকে ধরতে না পেরে তার প্রতারণা ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। মাইনুদ্দিন কয়েক মাস এলাকা ছেড়ে নরসিংদীতে আত্মগোপনে ছিলেন। মাইনুদ্দিনের বিরুদ্ধে অসংখ্য প্রতারণার অভিযোগ থাকলেও স্থানীয় প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে বলে এলাকাবাসীর ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগ রয়েছে।অনুসন্ধানে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী ইউনিয়নের হোগলাকান্দি গ্রামে ফকিরির নামে প্রতারণা ও তাবিজ-কবজের ব্যবসা করে মাত্র ১০-১৩ বছরে মাইনুদ্দিন কয়েক কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।বসতবাড়ি ছাড়াও এলাকায় রয়েছে তার আরও একটি বাড়ি, ৫/৬/বিঘা জমি। নামে-বেনামে বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে রয়েছে অন্তত কোটি টাকা। আত্মীয়স্বজনের নামে নরসিংদীতে রয়েছে ৬ কাঠা জমিসহ বিভিন্ন ধরনের সম্পত্তি। আড়াইহাজার রয়েছেন তারেক বাড়ি সব মিলিয়ে তিনি এখন অন্তত ৬-৭ কোটি টাকার মালিক। কিন্তু সরকারকে কোনো রাজস্ব দেন না। অভিযোগ রয়েছে, মাইনুদ্দিন নিজের প্রতারণা ও ভণ্ড ফকিরি ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে এলাকার প্রভাবশালীদের কয়েকজন ব্যক্তিদের পেছনে মাসে অন্তত ৫ লাখ টাকা ব্যয় করেন। জীবনে কখনও রাজনীতি না করলেও গত কয়েক বছর আগে নিজের অপকর্ম ঢাকার জন্য কৌশল অর্থ খরচ করে রূপসদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ধর্ম সম্পাদক হিসেবে। অনুসন্ধানকালে তাবিজ নিতে আসা পার্শ্ববর্তী তামান্নার সঙ্গে এ প্রতিবেদকের কথা হয়।তিনি বলেন, ‘অনেক মানুষ বিশ্বাস করে মাইনুদ্দিন ফকিরের তাবিজ-কবচ নিতে আসে। শুনেছি, ফকির নাকি চুক্তিতে কাজ করে। কিন্তু আমি দু’বার কইরা ৭ হাজার দিয়া তাবিজ নিয়াও কোনো ফল পাই নাই। তবে এ বিষয়ে বেশি কিছু বলা যাবে না। কারণ তার ক্যাডার বাহিনী শুনলে অত্যাচার করব।’ এসব বিষয়ে অভিযুক্ত মাইনুদ্দিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আগে আমি কবিরাজি করতাম এখন আর করিনা। পরবর্তীতে তার আস্থানা বিষয়ে বিস্তারিত জানালে তিনি স্বীকার করেন মাঝে মাঝে তার আস্থানায় বসেন। তিনি হুমকি দিয়ে বলেন, আমার নামে এর আগেও অনেক লেখালেখি হয়েছে। এতে আমার কিছুই হয় নাই। তিনি আওয়ামীলীগের একজন ধর্ম বিষয়ক প্রচার সম্পাদক পরিচয় দিয়ে থাকেন। তিনি আরোও বলেন, এ বিষয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করবেন না। যদি নিউজ করেন বা বেশি বাড়াবাড়ি করেন তাহলে আমি আপনাদের নামে চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে দিবো। কারণ সংশ্লিষ্ট থানার কিছু অসাধু পুলিশ অফিসারদের সাথে তার খুব ভালো সম্পর্ক রয়েছে এবং তার কাছেও অনেক বড় ধরনের সাংবাদিকদের সাথে চলাফেরা আছে। ঐসব বড় সাংবাদিকরাই তাকে শেল্টার দেয় বলে জানা যায়।

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Pages